জাতি পুনর্গঠনের জন্য দার্শনিক কবি ইকবাল ‘স্বীয় উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত’ কোন দর্শন হাজির করেননি। তিনি মুসলিম মিল্লাতকে আহবান জানিয়েছেন কুরআনের দিকে ফিরে আসার (Back to Quran)। ইকবাল মুসলমানদের সামনে নতুন কোন দর্শন নিয়েও দাঁড়াননি। তিনি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন আত্মবিস্মৃত মুসলিম জাতিকে কুরআন অধ্যয়নের, বিশুদ্ধ হাদীস অধ্যয়নের, সোনালী অতীত ইতিহাসকে অধ্যয়ন করে নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে আবার পৃথিবীর মানুষকে কল্যাণ রাষ্ট্র তথা কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। যে সমাজে আমীর-গরীব, ধনী-নির্ধন, উঁচু-নিচুর ব্যবধান থাকবে না। যে সমাজে অন্যায় থাকবে না, থাকবে না পৈশাচিকতার চিহ্ন মাত্র। যে সমাজের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যেভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামায সম্মিলিতভাবে প্রতিষ্ঠা করে, অনুরূপ সম্মিলিতভাবেই বিধান অনুযায়ী সমাজের আর পাঁচটি কাজও আঞ্জাম দেবে যেভাবে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেরা গুহা থেকে মানবতার মুক্তি সনদ কুরআনুল কারীম মানব সমাজে নিয়ে এসে জাহেলিয়াতের অমানিশাকে দূরীভূত করে তদানীন্তন মূর্খ-বেদুঈন মরুদ্যানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সর্বজনগ্রাহ্য ও মান্য সুশীল সমাজ। আজকের প্রেক্ষাপটে যারা সুশীল সমাজের স্লোগান উচ্চকিত করে, মানবতার কথা বলে, মানবাধিকারের বায়না ধরে, সন্ত্রাস নির্মূলের হাঁক-ডাক দিয়ে, গণতন্ত্রের গাল ভরা বুলি আওড়িয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে হাবাগোবা পেয়ে যাচ্ছে তা-ই করে যাচ্ছেন, ঐ সমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাতাগণ কখনো মিথ্যার বেসাতি করেছেন-এমন নজির বিশ্ব ইতিহাসে কেউ দেখাতে পারবে না। সেই সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার যোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে ইকবাল বুকটান করে দাঁড়িয়েছিলেন। নেতিয়ে পড়া মুসলমানদের পুনর্জাগরণের আহবান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন পাশ্চাত্যের কৃত্রিম আলেয়ার আলো থেকে মুসলমানদেরকে ফিরে আসতে নিজেদের ঐতিহ্যিক প্রেক্ষাপটে। এ জন্যে তিনি ইউরোপের মরীচিকার মুখোশকে খুলে দিয়েছিলেন মুসলমানদের সামনে। হতাশাদীর্ণ জাতিকে কাব্যাঘাত করে গদ্য-পদ্যে, বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে আত্মবলে বলিয়ান হয়ে মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আহবান জানিয়েছেন।
ইকবাল ভবিষ্যত কার্যসূচী হিসেবে মনে করেন আংশিকভাবে রাজনৈতিক ও আংশিকভাবে সাংস্কৃতিক কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। এ লক্ষ্যে তিনি কয়েকটি প্রস্তাবনাও পেশ করেন।
প্রথমত: আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে, বর্তমানে যারা রাজনৈতিক সংগ্রামে ভারতীয় মুসলিমদের কার্যকলাপের পথনির্দেশ করছেন বলে মনে করা হয়, তাদের রাজনৈতিক চিন্তাধারার মধ্যে এখনো এক ধরনের বিশৃংখলা রয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য অবশ্য জাতির উপর দোষারোপ করা চলে না। দেশের যে সব ব্যাপারের সাথে মুসলিম জনগণের ভাগ্য জড়িত রয়েছে, তার জন্য আত্মত্যাগের মনোভাব তাদের মধ্যে মোটেই নেই। আমি যা বলছি, সাম্প্রতিক ইতিহাস তার যথেষ্ট সাক্ষ্য দিচ্ছে। দোষ যা কিছু, তা আমাদের, তাদের নয়। জাতিকে যে পথনির্দেশ দেওয়া হয়, তা সব সময়েই স্বাধীনভাবে পরিকল্পিত নয় এবং তার ফল হচ্ছে সংকট মুহূর্তে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাঙন। এই কারণেই এসব প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক সংহতির জীবন ও শক্তির পক্ষে অপরিহার্য প্রয়োজনীয় ধরনের শৃংখলা সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারে না। এই দোষের প্রতিকারের জন্য আমি প্রস্তাব করছি যে, সমগ্র দেশব্যাপী প্রাদেশিক ও জেলা শাখাসহ ভারতীয় মুসলিমদের একটিমাত্র রাজনৈতিক সংস্থা থাকা প্রয়োজন। আপনারা তাকে যে কোন নাম দিতে পারেন। অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে, তার গঠনতন্ত্র এমন হওয়া প্রয়োজন হবে, যাতে যে কোন রাজনৈতিক চিন্তাধারাসম্পন্ন দলের ক্ষমতা লাভের ও তার নিজস্ব আদর্শ ও পদ্ধতি অনুযায়ী জাতির পথনির্দেশ করার সম্ভাবনা থাকে। আমার মতে ভারতে ইসলামের সর্বোত্তম কল্যাণের জন্য ভাঙনের সম্ভাবনা রোধ করার এবং আমাদের বিচ্ছিন্ন শক্তিকে পুনরায় সুসংহত ও শৃংখলানুসারী করার এই হচ্ছে একমাত্র পন্থা।
দ্বিতীয়ত: আমি প্রস্তাব করি যে, অবিলম্বে এই কেন্দ্রীয় সংস্থার অন্ততঃপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকার একটি জাতীয় তহবিল সংগ্রহ করা প্রয়োজন। নিঃসন্দেহে আমরা এক কঠিন সময় অতিবাহিত করে চলেছি, কিন্তু আপনারা নিশ্চিত জেনে রাখবেন যে, ভারতের মুসলিম জনগণকে যদি বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করা হয়, তা হলে তারা আপনাদের ডাকে সাড়া দিতে পশ্চাৎপদ হবে না।
তৃতীয়ত: আমি এই কেন্দ্রীয় সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশের অধীনে দেশব্যাপী তরুণ সংগঠন ও সুসজ্জিত স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠনের প্রস্তাব করছি। তারা বিশেষ করে আত্মনিয়োগ করবে সমাজ-সেবা, রীতিনীতির সংস্কার, জাতির ব্যবসায় সংক্রান্ত সংগঠন এবং শহরে ও পল্লীতে অর্থনৈতিক প্রচারের কাজে। এই অর্থনৈতিক প্রচার বিশেষ করে করতে হবে পাঞ্জাবে, যেখানে মুসলিম কৃষিজীবী সম্প্রদায়ের প্রচুর ঋণের বোঝা ভূমিবিপ্লবের কঠোর প্রতিষেধকের জন্য প্রতীক্ষা করতে পারে না। ১৯২৫ সালে চীনে যখন চাষী সংগঠন গড়ে উঠেছিলো, এখানকার পরিস্থিতিও তেমনি ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে বলে মনে হয়। সাইমন রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে যে, চাষী তার সম্পত্তির একটা বিশেষ অংশ রাষ্ট্রকে দিয়ে দিচ্ছে। রাষ্ট্র তার পরিবর্তে নিঃসন্দেহে তাকে দেয় শান্তি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু এসব আশীর্বাদ প্রাপ্তির মোট ফল দাঁড়িয়েছে কেবলমাত্র এক ধরনের বৈজ্ঞানিক উপায়ে কর আদায়, যান্ত্রিক উপায়ে প্রস্তুত পণ্য দ্বারা গ্রাম্য অর্থনীতির ধ্বংসসাধন এবং উৎপন্ন ফসলকে বাণিজ্যের আওতাভুক্ত করা যার ফলে চাষীদের প্রায় সব সময়েই মহাজন ও ব্যবসায়ী দালালদের শিকারে পরিণত হতে হচ্ছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবে এটা একটা অত্যধিক গুরুত্বপর্ণ ব্যাপার। আমি আশা করি, প্রস্তাবিত তরুণ সংগঠন এ সম্পর্কে প্রচার কার্যের বিশেষ শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং পাঞ্জাবের চাষীদেরকে বর্তমান দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভের ব্যাপারে সাহায্য করবে। আমার মতে, ভারতে ইসলামের ভবিষ্যত বহুলাংশে নির্ভর করবে পাঞ্জাবের মুসলিম চাষীদের স্বাধীনতার উপর। জীবনের দীপ্তি বৃদ্ধির জন্য এবং আমাদের ভাবী বংশধরদের কর্মের নতুন জগৎ তৈরীর উদ্দেশ্য ঈমানের অগ্নির সাথে মিলিত হোক তারুণ্যের অগ্নিশিখা। একটি সম্প্রদায় বলতে কেবল নিছক বর্তমান ও গণনা করার মতো নর-নারীর একটি সমষ্টি বোঝায় না। বাস্তবিকপক্ষে জীবন্ত বাস্তব হিসেবে তার জীবন ও কার্যকলাপকে পূর্ণরূপে উপলব্ধি করা যায় না তার অন্তর্নিহিত সত্তার গভীরে ঘুমন্ত অজাত অসীমতার প্রতি দৃষ্টিক্ষেপ না করে।
চতুর্থত: আমি ভারতের সবগুলো বড়ো বড়ো শহরে পুরুষ ও মহিলাদের সাংস্কৃতিক শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করি। এই সব শিক্ষাকেন্দ্রের রাজনীতির সাথে কোন সম্পর্ক থাকবে না। মানব জাতির ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ইসলাম ইতোমধ্যে কি কি কৃতিত্ব অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট অনুভূতি সঞ্চার করে আমাদের তরুণ সমাজের অন্তরে ঘুমন্ত উদ্যমকে সুসংহত করাই হবে তাদের প্রধান কাজ। একটি জাতিকে বিচ্ছিন্ন খন্ড জীবনের সমষ্টি হিসেবে নয়, বরং অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও সংহতিসম্পন্ন সুনির্দিষ্ট সমগ্য হিসেবে উপলব্ধি করার ও তার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করার মতো ব্যক্তিমনের বিশালতা আনয়নের উপযোগী নতুন কর্তব্য পেশ করেই কেবলমাত্র একটি জাতির প্রগতিশীল দলসমূহকে জাগ্রত করে তোলা যায়। এ শক্তিকে জাগ্রত করা গেলে তারা আনয়ন করে নতুন সংঘাতের নব নব উদ্যম এবং সেই অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতার অনুভূতি, যা ভোগ করে প্রতিরোধক্ষমতাও বয়ে আনে নতুন সত্তার প্রতিশ্রুতি। এই সব শিক্ষাকেন্দ্র একক উদ্দেশ্যের অনুসারী আমাদের শিক্ষা-প্রচেষ্টাসমূহের সাথে ঘনিষ্ঠ সংযোগ রক্ষা করে চলবে। এখনই আমি একটি প্রস্তাব আপনাদের সামনে পেশ করতে পারি। রাজনৈতিক সমস্যার চাপে হার্টগ কমিটির অন্তর্বতী রিপোর্ট এখন স্পষ্টত সবাই ভুলে গেছে। তাতে নিম্নলিখিত যে সুপারিশ করা হয়েছিলো, তাকে আমি ভারতীয় মুসলিমদের পক্ষে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করি। এ সম্পর্কে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না যে, যে সব প্রদেশে ধর্মীয় অসুবিধার দরুন মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে উক্ত সম্প্রদায় যাতে শিশুদেরকে সাধারণ বিদ্যালয়ে পাঠায়, তার অনুরূপ ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারলে সরকারী ব্যবস্থা মিতব্যয় ও যোগ্যতা- উভয় দিকে দিয়ে লাভবান হবে এবং উক্ত সম্প্রদায়কে শিক্ষায় পশ্চাৎপদ অবস্থার ফলোদ্ভূত বাধা ও কলংক থেকে মুক্তিলাভে যথেষ্ঠ সহায়তা করা হবে।
আমরা পূর্ণরূপে অবহিত যে, এই ধরনের ব্যবস্থা কার্যকরী করা সহজসাধ্য নয় এবং অন্যান্য দেশে তাতে যথেষ্ট বিতর্কের উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু আমাদের মতে, বাস্তব পরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য সুসংবদ্ধ প্রচেষ্টার উপযুক্ত সময় এসে গেছে। পুনর্বার বিশেষ ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা প্রসংগে রিপোর্টের ২০৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে। ‘সুতরাং সরকার পদ্ধতির মধ্যে বর্তমানে ও সম্ভবত আগামী কিছুকালের জন্যে যদি এমন বিশেষ ব্যবস্থা করা যায়, যাতে মুসলিম সম্প্রদায় জাতীয় অগ্রগতিতে পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ করতে পারে, তাহলে তা আমাদের মতে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক অথবা সুষ্ঠু শিক্ষাসংক্রান্ত নীতির সাথে অসামঞ্জস্যমূলক হবে না। এরূপ কোন বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই বলতে পারলেই আমরা খুশি হতাম এবং আমরা আশা করি, এরূপ বিশেষ ব্যবস্থা যথাসম্ভব কম হবে। শিক্ষা-ব্যবস্থায় জটিলতা সৃষ্টির কারণ হিসেবে এরূপ ব্যবস্থা অবাঞ্ছিত, কিন্তু যেহেতু আমরা বিশ্বাস করি মুসলিম সম্প্রদায়ের বর্তমান পশ্চাৎপদ অবস্থা ও পৃথক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত স্বল্প সম্ভাবনার তাদেরকে সীমাবদ্ধ রাখার বিকল্প পন্থা হিসেবে এই ধরনের ব্যবস্থার প্রয়োজন, সেই কারণে জাতীয় নীতির ব্যাপক যুক্তিতে উক্ত বিকল্প পন্থাকে যুক্তিসংগত বলে গ্রহণ করতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করছি না।
প্রস্তাবিত সাংস্কৃতিক শিক্ষাকেন্দ্রসমূহকে অথবা তাদের প্রতিষ্ঠাকাল পর্যন্ত নিখিলভারত মুসলিম সম্মেলনকে অবশ্যই দেখতে হবে, যাতে এই সব সুপারিশ কার্যে পরিণত করা হয়, কারণ এই সুপারিশ আমাদের সম্প্রদায়ের বর্তমান প্রতিবন্ধক সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণার ভিত্তিযুক্ত।
পঞ্চতম: আমি একটি ওলামা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব করি। তার ভিতরে এমন সব মুসলিম আইনজীবীও থাকবেন, যাঁরা আধুনিক আইন সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করেছেন। আমার ধারণা হচ্ছে ইসলামী কানুন সংরক্ষণ ও প্রয়োজন হলে আধুনিক অবস্থার আলোকে তার পুনর্ব্যাখ্যা দান এবং তার সাথে তার মৌখিক নীতির সাথে ঘনিষ্ঠ সংযোগ রাখা। এই প্রতিষ্ঠানকে অবশ্য শাসনতান্ত্রিক স্বীকৃতি লাভ করতে হবে, যাতে মুসলিম ব্যক্তিগত আইন সংক্রান্ত কোন বিল এই পরিষদের পরীক্ষার পর্যায় অতিক্রম করার পূর্বে বিধান সভার সম্মুখে উত্থাপিত হতে না পারে। ভারতীয় মুসলিমদের জন্য নিছক বাস্তব মূল্য উপলব্ধি ছাড়াও আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে যে, আধুনিক দুনিয়ার মুসলিম ও অমুসলিম উভয়ের-ইসলামী আইন সাহিত্যের অন্তমূল্য ও পুঁজিবাদী দুনিয়ার পক্ষে তার তাৎপর্য এখনও দীর্ঘকাল পূর্বে মানুষের অর্থনৈতিক আচরণের নিয়ন্ত্রণ- সীমা অতিক্রম করে গেছে। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, আমার প্রস্তাবিত পরিষদ অন্তত এদেশে ইসলামের স্বাভাবিক নীতির গভীরতর উপলব্ধি এনে দেবে।
এভাবে ইকবাল একটি কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিজ্ঞজনোচিত দিক-নির্দেশনা দিয়ে গেছেন আমৃত্যু।